Advertisement
Employment in West bengal (বাংলায় কর্মসংস্থান)
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলায় আর বেকার (Employment Problem) থাকতে হবে না। নয়া প্রকল্প ঘোষণার দিনই, সরকারের তরফ থেকে সেইরকম ইঙ্গিত ই মিলল। বড় ঘোষণা মুখ‍্যমন্ত্রীর।
এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, কর্মসংস্থান। দেশের প্রায় সর্বত্রই কাজের অভাব এতটাই প্রকট হয়েছে যে, মানুষ যারপরনাই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র থাকলে, হাতে কাজ থাকলে, উপার্জন সঠিকভাবে করতে পারলে, সার্বিকভাবে সমাজের উন্নতি হওয়া সম্ভব। তাছাড়া কোনোভাবেই একটি সমাজ বা রাজ্য বা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্মসংস্থান নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে দাঁড়িয়ে সেরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা এখনো পর্যন্ত পূরণ হতে দেখা যায়নি। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিল্প (Industry) এবং কর্মসংস্থানের (Employment) লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও অতীতের বাম জমানার স্মৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে শিল্প এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে গিয়ে তৃণমূল সরকারকে যথেষ্ট লড়াই করতে হচ্ছে।

Advertisement

তবে যে যাই বলুক, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বেকার সমস্যা একেবারে চরম মাত্রায় দাঁড়িয়েছে, সেই জায়গায় কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভালো। তবে বাংলায় মানুষের হাতে যে কাজের ব্যবস্থা (Employment) করে দিতে হবে, তা উপলব্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ভাবনা থেকেই একের পর এক নতুন প্রকল্প তৈরি করছেন তিনি। যার দ্বারা রাজ্যের মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।

Advertisement

Employment in West Bengal:

সম্প্রতি বাঁকুড়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে রাজ্যের ১০ লক্ষ ছেলেমেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড় (Employment) করাবেন। অর্থাৎ এই ১০ লক্ষ ছেলে মেয়ে ৫ বছর সময়কালের মধ্যে নিজের ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হবেন এবং সেই লক্ষ্যে সরকার তাদের সহযোগিতা করার জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে। একজন নিজের পায়ে দাড়ালে আরও ১০০ জন কাজ পাবে। ১০০ জন কাজ পেলে পরিবারের ৫০০ জন ভালো থাকবে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ায় বলেছেন, আগে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক তৈরি করা হতো বাইরে থেকে। যার মাধ্যমে কোনো একজন ব্যবসায়ী উপার্জন করার সুযোগ পেতো। কিন্তু এখন সেলফ হেল্প গ্রুপ (Self Help Group) বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য পোশাক তৈরি করা হয়। আর এর ফলে ৫ কোটি কর্ম দিবস তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে লক্ষ্য রয়েছে, ৮ কোটি কর্ম দিবস (Employment Working Days) তৈরি করার।

EK24 News
West Bengal Lakhir Bhandar Scheme ( পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ও বিধবা ভাতা)

আর এর ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আয় করতে পারছেন। এবারের রাজ্য বাজেটে রাজ্য সরকার বাংলার ছেলেমেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নতুন এক প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্যের মধ্যে ২ লক্ষ ছেলে মেয়ে যারা ব্যবসা করতে আগ্রহী, তাদের রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ ছেলে মেয়ে নিজে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

Advertisement

আরও পড়ুন, সমস্ত ব্যাংকে মিনিমাম ব্যাল্যান্স বেড়ে গেল, ফাইন এড়াতে জেনে নিন, কোন ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, ২ লক্ষ ছেলে মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। রাজ্যে রাস্তাঘাট, বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করার পরেও ছেলেমেয়েদের নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সরকারের তরফে তাদের এই সহযোগিতা করা হবে। যার ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ ছেলেমেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে (Employment) এবং তারা একেকজন ১০০ জন মানুষকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে এও জানিয়ে দেন, প্রতিটি প্রকল্প রূপায়ণ করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

সরকারের সাহায্য নিয়ে 30% কমিশনে বাড়ির ছাদে এই ব্যবসা শুরু করুন, আয় হবে লাখ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, আমি জাদুকর নই। গুপী গাইন বাঘা বাইন নই। টাকার জোগাড় করতে হয়। আমরা জনগণের কাছ থেকে কর (Tax) নিই না। জনগণের কর হল, জনগণ আমাকে ভালবাসে, আমরা জনগণকে ভালোবাসি। বাংলায় বিজেপি (BJP), সিপিআইএম (CPIM), কংগ্রেসসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে বারে বারে কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও সেই রাজনৈতিক দলগুলো যে সমস্ত রাজ্য পরিচালনা করছে, সেখানেও কর্মসংস্থানের অভাব (Unemployment) প্রকট। কিন্তু তাদের সেই বিরোধিতার জবাবেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য সরকারের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে। যার জন্য নিত্য নতুন প্রকল্প (Government Scheme) তৈরি করা হচ্ছে। আর এর ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যবাসী।
Written by Rajib Ghosh.

পিএম কিষাণ নিয়ে সামনে এলো 1টি বড়ো আপডেট! চট জলদি দেখে নিন।

Advertisement
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement