তালিবান জমানার পর আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল নয়াদিল্লির। কাবুলের ক্ষমতায় তালিবান আসার পর ভারত সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হতে চলেছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ। এক সংবাদমাধ্যমকে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, এই অঞ্চলে ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আফগানিস্তান তাদের জন্য ভীতির কারণ হবে না। নয়াদিল্লি-কাবুল সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জাবিউল্লাহর দাবি, নতুন জমানায় তালিবান সরকারও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কূটনীতিকদের একটা অংশ মনে করছে, তালিবানি উত্থানকে কাশ্মীরে কাজে লাগাতে পারে ইসলামাবাদ। এই ধরনের জল্পনায় ইতি টেনেছেন জাবিউল্লাহ । তাঁর কথায়, অন্য কোনও দেশকে বিপদে ফেলতে চায় না তালিবান। ভারতকে আশ্বাস দিতে চাই, ওদের ভীতির কারণ হব না। প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগাস্ট এই জাবুউল্লাহ মুজাহিদ পাকিস্তানকে ‘দ্বিতীয় ঘর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তানের সীমান্ত রাষ্ট্র পাকিস্তান। ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগতভাবে আমরা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের মানুষের মধ্যে মেলামেশাও রয়েছে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাই।
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement